উল্টে যাওয়া মাছের গাড়ি থেকে উদ্ধার চার শো র বেশী কচ্ছপ

14th January 2021 10:28 pm বর্ধমান
উল্টে যাওয়া মাছের গাড়ি থেকে উদ্ধার চার শো র বেশী কচ্ছপ


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( জামালপুর ) :  দুর্ঘটনায় সড়ক পথে উল্টে যাওয়া মাছের গাড়ি থেকে উদ্ধার হল চার শতাধিক কচ্ছপ ।  চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের  জামালপুরে। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলি পুলিশ  বনদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে । কচ্ছপবাহী গাড়ি আটক করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।পুলিশের পাশিপাশি বনদপ্তরও ঘটনায় জড়িত দের খোঁজ শুরু করেছে ।  পুলিশ জানিয়েছে , বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মেমারি তারকেশ্বর রাজ্য সড়কে জামালপুর থানার চৌবেড়িয়া পুলের কাছে একটি ছোট মালবাহী গাড়ি উল্টে যায় । সেই খবর পেয়ে  টহলদারি পুলিশ গাড়ি সেখানে পৌছায় । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক বা খালাসি কাউকেউ দেখতে পায়না। গাড়িটিতে মাছের কাটুন দেখে   পুলিশ গাড়িটি মাছবাহী গাড়ি বলেই  মনে করে নেয়  । পরে ক্রেন এনে গাড়িটি তোলার সময়ে দেখা যায় মাছের কাটুনের  নিচে বেশ কয়েকটি বস্তায় কিছু ভরা রয়েছে । বস্তার মুখ খুলতেই পুলিশ দেখে বস্তা গুলিতে কচ্ছপ  ভরা রয়েছে। জামালপুর থানার ওসি অরুণ সোম জানিয়েছেন ,উল্টে যাওয়া ওই গাড়ি থেকে ১৬ টি বস্তায় ভরতি ৪০২ টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে । কচ্ছপগুলি এদিন  বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি কচ্ছপ পাচারে জড়িতদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন ।  বর্ধমানের বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন , এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে কচ্ছপ পাচারে জড়িতরা এখন পাচারের কৌশল বদলেছে ।এতদিন বিহার হয়ে আসা বিভিন্ন ট্রেন থেকে কচ্ছপ উদ্ধার হচ্ছিল । বর্ধমান জিআরপি ও আরপিএফ সজাগ থাকায় কচ্ছপ সহ ধরা পড়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা ।এবার তারা কৌশল বদলে মাছের গাড়িতে কচ্ছপ পাচারের পন্থা নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে । সেই কারণে পুলিশের পাশাপাশি বনদপ্তরও  এবার থেকে সড়কপথে নজরদারি বাড়াবে। 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।